• ঢাকা বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১
logo
সিআইডি, নৌ, রেল ও হাইওয়ে পুলিশে নতুন প্রধান
বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপর্যায়ে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকদের গুরুত্বপূর্ণ সব ইউনিটে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখকে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব আবু সাঈদ। নৌ-পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি কুসুম দেওয়ান, রেলওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে। একই প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে পদায়ন করা হয়েছে মো. আলমগীর আলম, গোলাম কিবরিয়া, সেলিম মো. জাহাংগীর এবং মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরীর পিবিআইতে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর প্রায় দুই মাস ইউনিট প্রধান ছাড়াই চলছিল সিআইডি। আরটিভি/এমএ  
৫ ঘণ্টা আগে

ভবিষ্যতে ‘মাইনাস টু’র সম্ভাবনা নেই: প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, ‘আমাদের সরকার মাইনাস টু কী জিনিস, এটা জানে না এবং মাইনাস টু নিয়ে আমাদের সরকারের কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের আলোচনা কখনো হয়নি। ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা নেই।’ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ২০০৭ সালে মাইনাস টু ফর্মুলাটি এক-এগারোর সরকার সামনে এনেছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে দল দুটির কিছু নেতা সক্রিয় হয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত ৫ আগস্ট বিএনপি, জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল। দুর্গাপূজার কারণে গত শনিবার সংলাপ হয়নি। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৯ অক্টোবর (শনিবার) আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার সংলাপে অংশ নেবে। তিনি বলেন, ‘গণফোরাম, আগামী শনিবার এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বিজেপি আমন্ত্রিণ পেয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই-একটি রাজনৈতিক দলকে হয় তো এ দফায় কিংবা পরবর্তী সময়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে, সেটা প্রক্রিয়াধীন আছে।’ জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা? প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। অনেকগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অন্য আর কার (দল) সঙ্গে আলোচনা হবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদ এটা নিয়ে কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে আর কারো সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হলে সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সহকারী প্রেস সচিব, সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলী। আরটিভি/এসএপি
৯ ঘণ্টা আগে

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ২০ অক্টোবর
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা আগামী ২০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।  সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্টের চলমান অবকাশকালীন ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস আগামী ২০ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদক এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন।  এ সৌজন্য সাক্ষাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দীর্ঘ অবকাশ শেষে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হওয়া এখানে একটি রেওয়াজ। আইনজীবীরা জানায়, বার ও বেঞ্চের সোহার্দ্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। সূত্র: বাসস আরটিভি/এমএ/এসএ
১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬

বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
সমাজে বিরাজমান অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাইকে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার (১৩ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কমপ্লেক্সের পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় এ কথা বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে ন্যায়ের পথে থেকে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিরতিহীনভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সৈয়দ রেফাত আহমেদ আরও বলেন, আবহমানকাল থেকে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে শারদোৎসব উদযাপনের সংস্কৃতি আমাদেরকে ভ্রাতৃত্ববোধ, বহুত্ববাদ, সহিষ্ণুতা ও একত্রে পথচলার শিক্ষা দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই উদাহরণ একদিকে যেমন আমাদেরকে ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য লড়াই করতে শেখায়। সামাজিক দায়িত্ববোধ তথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকারের সুরক্ষায় আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের প্রয়াত রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী পুজামণ্ডপসহ কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নাজিমুদ্দৌলা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার খান, জেলা প্রশাসক শরীফা হক, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁঞা ও স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন। আরটিভি/এমকে/এআর
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:৩৩

প্রধান বিচারপতির বাসভবন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ
প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের উদ্যোগে ১৯ হেয়ার রোডের বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি স্থায়ীরূপে সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবনটির সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুরাকীর্তি আইন-১৯৬৮ এর বিধান প্রয়োগের মাধ্যমে বাসভবনটির মালিকানা ও ব্যবহার স্বত্ব বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে অক্ষুন্ন রেখে দৃষ্টিনন্দন ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি সংরক্ষণ করা হলে স্থাপনাটি জনমানসে একটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম এই স্থাপনার সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হবে। এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সভাকক্ষে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলমসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি ও প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক এই স্থাপনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ হতে ৬ অক্টোবর পত্র প্রেরণ করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯ হেয়ার রোডস্থ প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ঘোষণার প্রেক্ষিতে নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের ঢাকাতে স্থানান্তরিত হলে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যে সকল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল তার মধ্যে ১৯ হেয়ার রোডস্থ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন অন্যতম। ১৯০৮ সালে নির্মিত অনন্য এ স্থাপনার নির্মাণ শৈলিতে মোঘল ও ইউরোপীয় ধ্রুপদি স্থাপত্য রীতির মিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়।  ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যাওয়ার পর এই ভবনটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও ১৯৫০ এর দশকের শুরু হতে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শতবর্ষী এ স্থাপনাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হলে ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এর ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট স্থাপনাটির গুরুত্ব ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সূত্র: বাসস আরটিভি/আরএ/এসএ
১০ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৬

সরকারবিরোধী গুজব নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ ছেড়েছেন বলে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন অনেকেই। ছড়িয়ে পড়া ওই গুজব নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শুধু চেয়ারই না, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ ছাড়লেন বাকি উপদেষ্টারাও। সোর্স : চালাইদেন।’ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সেই পোস্টে কাফি নামের একজন লিখেছেন, ধরলাম ডক্টর ইউনূস পালিয়ে গেছে, মেনে নিলাম শিশু উপদেষ্টারা লুকিয়ে গেছে, তাদের কথা সব মেনে নিলাম। কিন্তু তাই বলে কি তাদের মা তাদের জান্নাতি আপা পবিত্র মানুষ হাসিনা ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে! লাউড এন্ড ক্লিয়ার, মানুষ মরণশীল, ডক্টর ইউনূস এবং তাদের উপদেষ্টারা মরে গেলেও তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আসার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু এখন তো পাশের দেশ থেকেও দূরে চলে গেল আপা। সুন্দর শান্তির রুলসের বাংলাদেশ চাই। এম এ আহমেদ আজাদ লিখেছেন, গুজবের হাতিয়ার হিসেবে এসব বিষয় করা সঠিক, গুজবে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যায়, কিন্তু পরবর্তীতে এরাই নিন্দিত হয়। জয়নুল আবেদিন লিখেছেন, ফ্যাসিবাদী চিন্তাভাবনা ও গণহত্যার পক্ষে যারা সমর্থন দেখাচ্ছেন, তাদের ইতিহাসের অন্ধকার দিকগুলো মনে রাখতে হবে। আমাদের উচিত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করা। সামনের প্রজন্মকে একটি সুস্থ সমাজ উপহার দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গোলাম মোস্তফা লিখেছেন, ভাই আপনারা গুজবে কান না দিয়ে আপনাদের মতো কাজ করে যান। আপনাদের প্রতি আমাদের অটল বিশ্বাস আছে, আপনাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা রইল। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অবস্থান করা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আরটিভি/এফআই-টি
০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০৬

জ্বালানি বিভাগের নতুন সচিব সাইফুল ইসলাম
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে পদোন্নতি দিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে সরকার।  সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পেট্রোবাংলার বোর্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে বদলির আদেশাধীন ছিলেন। এদিন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে সদ্য সংযুক্ত মো. রফিকুল ইসলামকে আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ফেরত আনা হয়েছে। আরটিভি/আইএম/এআর
০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে মন্তব্য, এবার উপজেলা কর্মচারী বরখাস্ত
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির পর এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করে বরখাস্ত হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের কর্মচারী এস এম মনিরুজ্জামান।  সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারীর (সিএ) দায়িত্বে ছিলেন। জানা গেছে, প্রথম আলোর অনলাইন পেজের একটি নিউজের লিংকের মন্তব্যের ঘরে মনিরুজ্জামান লিখেছেন, ‘আগে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এখন ফাঁসি নিশ্চিত (যদি বাংলাদেশে জীবিত থাকেন)।’ এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের নজরে এলে মনিরুজ্জামানকে বরখাস্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি এর আগে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।  তাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘তিনি যা করছেন সরকারি চাকরিজীবীদের তা করা অনুচিত। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ এর আগে ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। সেইসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আরটিভি/এসএপি
০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:৩৩

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এ ঘটনায় তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে সরকার। রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখনও নির্দেশনা হাতে আসেনি। রোববার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শনিবার তাপসী তাবাসসুম উর্মি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি গণমাধ্যমকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।  এদিকে তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে  গিয়ে দেখা গেছে,  ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া  আওয়ামী লীগের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. এ কে এম এনামুল হক বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয়। সেখানে সরকারের এমন সমালোচনা করা যাবে না যেখানে জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে ইফেক্ট করতে পারে, এটা ২৩ এর এ তে আছে। আরটিভি/আইএম
০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৪

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী
পদোন্নতি পেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।  রোববার (৬ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে পদোন্নতি দিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হলো।  জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদবঞ্চিত ছিলেন রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। সরকারের যুগ্ম সচিব থাকাকালে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। এমনকি কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে অধস্তন করেও রাখা হয়েছিল তাকে।  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রেজাউল মাকসুদ জাহেদীকে যুগ্ম সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের অতিরিক্ত সচিব করা হয়। এরপর আজ তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো। প্রসঙ্গত, রেজাউল মাকসুদ জাহেদী ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। বিসিএস ১৩ তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা জনপ্রশাসনে দক্ষ বলে খ্যাত। আরটিভি/আইএম/এএইচ
০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়